‘বাখরখানির’ বিশেষ কদর সুনামগঞ্জে

0
98
ক্রেতাদের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাখরখানি। সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের ডিএস রোড এলাকার জালালাবাদ বেকারিতে

দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, থরে থরে সাজিয়ে রাখা ইফতারসামগ্রীর মধ্যে বাখরখানি, জিলাপি, চিকেন মোগলাই, সবজি মোগলাই, আলুর চপ, ডিমের চপ, ছানা, পেঁয়াজু, মাছের বড়া, শাকের বড়া, বেগুনি, চিকেন কাবাব, পাটিসাপটা, সাদা পোলাও, চিকেন পোলাও, চিকের ফ্রাই, চিকেন ও বিফ আখনি, ভুনা খিচুড়ি, ডিমের চপ, তেহারি ও বিরিয়ানি আছে।

তবে এবার পোলাও, আখনির দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, চাল, মুরগি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে সবকিছুই গত রমজানের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সুনামগঞ্জে ইফতারি কিনছেন লোকজন। সোমবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোড এলাকার হক রেস্তোরাঁর সামনে

সুনামগঞ্জে ইফতারি কিনছেন লোকজন। সোমবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোড এলাকার হক রেস্তোরাঁর সামনে

এবার বিফ আখনি ৩৪০ টাকা, চিকেন ৩০০ টাকা, ভুনা খিচুড়ি ১৫০ টাকা, ছানা ২৪০ টাকা, পেঁয়াজু ২৫০ টাকা, ছোট জিলাপি ২৪০ টাকা, বড় জিলাপি ২০০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাখরখানি প্রতি টুকরা ১০ থেকে ১৫ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৩০ টাকা, সবজি ফ্রাই ২০ টাকা, চিকেন মোগলাই ৩০ টাকা, সবজি মোগলাই ২৫ টাকা, বিভিন্ন জাতের বড়া ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহরের পানসি রেস্তোরাঁর সামনে ইফতারি বিক্রির সময় কথা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী জুয়েল আহমদের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, সকাল থেকে তারা ইফতারির বিভিন্ন পদ তৈরির কাজ শুরু করেন। বিক্রি শুরু হয় মূলত বেলা তিনটার পর থেকে। যখন মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। জুয়েল বলেন, ‘বেচাবিক্রি ভালোই। ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই আমরা ইফতারসামগ্রী প্রস্তুত করি।’

সেখানেই কথা হয় শহরের বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহানুর রহমানের সঙ্গে। সোহান বলেন, ‘গত বছর বিফ আখনি কিনছি ২৫০ টাকা কেজি, চিকেন ২০০ টাকা। ইবার কেজিতে ১০০ টাকা বেশি। অন্যান্য আইটেমেও দাম বাড়ছে। তবুও বাজার থাকি এক-দুই পদ ইফতারি কিনি।’

শহরের ডিএস রোডের তাকওয়া মিষ্টান্নর ইফতারি বিক্রেতা রনি আহমেদ বলেন, সব দিন বিক্রি সমান হয় না। যেদিন সরকারি ছুটি থাকে, সেদিন বিক্রি কম হয়। কারণ শহরে ওই দিন মানুষ কম থাকেন।

সুনামগঞ্জ শহরের একটি দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতারসামগ্রী

সুনামগঞ্জ শহরের একটি দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতারসামগ্রী

শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুল হাসান সেখান থেকে ইফতারসামগ্রী কিনে দাম পরিশোধ করছিলেন। কী কী কিনলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক পদের বড়া, বাখরখানি আর কিছু জিলাপি। রোজায় প্রায় প্রতিদিনই বাজার থেকে কিছু না কিছু ইফতারি কেনেন বলে জানান এই আইনজীবী।

পাশের জালালাবাদ বেকারিতে তখন ইফতারি বিক্রিতে ব্যস্ত সবাই। দোকানের সামনে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসায় মানুষের তাগাদা বেশি। এর ফাঁকে বেকারির কর্মী বোরহান উদ্দিন জানান, তাঁদের দোকানে বাখরখানি বিক্রি হয় বেশি। প্রতিদিন ২৫০০ থেকে ৩০০০ টুকরা বাখরখানি বিক্রি করেন তাঁরা। ইফতারে অনেকেরই পছন্দ বাখরখানি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.