বাইডেনের ৭২ ঘণ্টার ইউরোপ সফর, ফলাফল কী

0
160
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওয়ারশতে রয়্যাল ক্যাসলে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: এপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তিন দিন পর ইউরোপ ছাড়ছেন। এ সফরের শুরুতে আকস্মিক ইউক্রেনের কিয়েভেও হাজির হন বাইডেন। কিয়েভে রুশ আক্রমণের বছরপূর্তির তিনদিন আগে ইউক্রেন সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। খবর: সিএনএন’র।

মহাদেশ পর্যায়ে যুদ্ধ বাধানোর পরিস্থিতি তৈরির জন্য কিয়েভ সফরকালে বাইডেন সরাসরি পুতিনকে দায়ী করেন।

প্রথমে ইউক্রেনে এবং পরের দুদিন পোল্যান্ডে বাইডেন ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতির মাঠে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় যাচ্ছে জো বাইডেনের। অতি গোপনীয়তার সঙ্গে কিয়েভে পৌঁছান বাইডেন।

নিজের সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপে এবং ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় এমনকি স্ত্রী জিল বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর এই সফরকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ইউক্রেনের প্রতি সংহতি ও সহযোগিতার ধারাবাহিকতা প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাইডেন দেখাতে চাইছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সমর্থন-সহযোগিতার অবস্থান থেকে টলে যাবে না।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে এবং কখন এই যুদ্ধ বন্ধ হবে?

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেনকে বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ান যখন ওয়াশিংটনের পথে যাত্রা করেছে, এখন বাইডেনের সফর এ প্রশ্নের জবাব কতটা দিতে পারছে তা এড়ানোর সুযোগ নেই।

বাইডেনের আর্থিক সহায়তা ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের ধারাবাকিতার যে প্রতিজ্ঞা বাইডেন পুনর্ব্যক্ত করেছেন, এর নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে একটি কথা। সেটি হলো- ইউরোপীয় মিত্র দেশসমূহ এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে একপক্ষ এবং অপরপক্ষ রাশিয়া এ যুদ্ধে স্থবিরতার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমান কোনো ফল ছাড়াই, উভয় পক্ষ আজ লোকসানের মুখোমুখি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.