বাংলাদেশের ১৪ জনের দলে থাকা চার পেসারের সবাই একাদশে থাকার মতোই। কাকে রেখে কাকে খেলাবেন– এই নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়তে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই মধুর সমস্যায় পড়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
মিরপুরের ট্রিপিক্যাল ও টার্নিং উইকেট এবং প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নিয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দু’জন পেসার খেলানো হতে পারে। বাঁহাতি মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে খেলতে পারেন তাসকিন আহমেদ। উইকেটের বৈশিষ্ট্যের কারণেই দু’জন নিয়মিত স্পিনার খেলাতে চান তামিম। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ওপরও আস্থা রাখতে পারেন অধিনায়ক।
অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাকি সাতটি পজিশন। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন কুমার দাসের জুটি। এক দিনের ক্রিকেটে সেট জুটি তাঁরা। তিন নম্বর পজিশন নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য বরাদ্দ করা হতে পারে। মিডলঅর্ডারের শুরু মুশফিকুর রহিমকে দিয়ে। পাঁচে সাকিব, ছয়ে আফিফ হোসেন থাকলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গা সাতে।
অন্যদিকে ছয় জন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইংল্যান্ড। তারা তিন পেসারের সঙ্গে খেলাতে পারে তিনজন স্পিনার। উইল জ্যাক ও মঈন আলী ফুল টাইম স্পিন অলরাউন্ডার। আবার স্যাম কারেন পরিপূর্ণ বাঁ-হাতি পেস অলরাউন্ডার হওয়ায় ওই সুযোগ পাচ্ছে তারা। একাদশে দুই গতিময় পেসার মার্ক উড ও জোফরা আর্চারের জায়গাও একপ্রকার নিশ্চিত।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: জেসন রয়, ফিল সল্ট, ডেভিড ম্যালান, জেমস ভিন্সি, জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), উইল জ্যাক, মঈন আলী, স্যাম কারেন, আদিল রশিদ, মার্ক উড, জোফরা আর্চার।