পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর, পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক।
এছাড়া ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান ৯২ ভোট পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। ফলে নির্বাচনে জয়ী পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়ে ওই দল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দিয়েছেন। তাদের প্রার্থী পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুব।
শনিবার (২ মার্চ) শাহবাজ ও আইয়ুবের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয় দল দুটি। এরইমধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র অনুমোদন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। রোববার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট শুরু হয়। জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন।
পাকিস্তানের এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফকে সমর্থন দিয়েছে মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। দলগুলোর সমর্থনে শাহবাজ যে খুব সহজেই আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, সেটি আগে থেকেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদ সচিবালয় ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। শনিবার (২ মার্চ) বেলা ২টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়।
সংবিধানে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৩৩৬ পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেয়া হবে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হলো।