দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমার নির্বাচনী প্রতীক ঈগলের পক্ষে প্রচার কাজ চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমর্থক আব্দুর রহমান শেখ ঝনকের ওপর হামলাসহ অফিস ভাঙচুর, অব্যাহত হামলা এবং গত কয়েক দিনের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
এ. কে. আজাদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী অফিস খুলতে পারছেন না কর্মী-সমর্থকরা। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে অনেক জায়গায় নির্বাচনী অফিস খুলতে পারছি না।
নির্বাচনী প্রচারে যারা হুমকি ও বাধা দিচ্ছে তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন সংবাদ সম্মেলন। তারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই লোকগুলো আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছে। তাদের নামও মুখে আনতে ভয় পাচ্ছেন আমার কর্মীরা।
বাধা ও হুমকিদাতাদের মধ্যে তিনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তারা হলেন, গোলাম নাসির, তোফাজ্জল হোসেন সম্রাট, মোবারক খলিফা, তরিকুল ইসলাম নাসিম, ফাহিম, জহুরুল ইসলাম জনি, শাহিন মোল্লা, রাকিবুর রহমান রাকিম, শহীদুল ইসলাম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বলেন, এরা বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিচ্ছে, অফিস ভাঙচুর করছে। কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে একটি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘কাল থেকে ঈগল প্রতীকের ক্যাম্পেইন করলে তোকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
এ. কে. আজাদ বলেন, ফরিদপুরের সারা শহরে দিনের বেলা পোস্টার লাগাই। কিন্তু রাতের বেলা সেগুলো উঠানো হয়।