রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মডেল ও অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া রহমানকে। এরপর দ্রুত তাঁকে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাসনিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। তাসনিয়ার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌসী।
রাজধানী ধানমন্ডির একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন তাসনিয়া। একই বাড়ির চারতলায় থাকতেন তাঁর মা–বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তাসনিয়া। আরেকটি ফ্ল্যাটে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। ভোরে এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাসনিয়াকে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাসনিয়া ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন তিনি। তাসনিয়া খুব জেদি স্বভাবের ছিলেন। তবে কী কারণে তাঁকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
কয়েক বছর ধরে মডেলিং ও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাসনিয়া রহমান। এর আগে একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে অনেক ধরনের সমস্যার কথা বলেন তিনি। গত বছরে একাধিক প্রতারণার অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন তাসনিয়া। তখন তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক জসীম আহমেদ।
অভিনয়ে নবাগত ছিলেন তাসনিয়া। কয়েকটি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন তিনি। নির্মাতা অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ সিরিজের একটি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান তাসনিয়া।