সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সিনিয়র সাংবাদিক মিলিয়ে মোট আটজনকে নিয়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে এভাবে পাঁচ ধাপে বিশিষ্টজন নিয়ে সেমিনারের আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী নভেম্বরের শুরুতে সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইসির শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, বিরোধীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই একতরফা ভোট হলেও নিজেদের দায় এড়াতে তপশিলের আগে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এরই অংশ হিসেবে বিশিষ্টজন নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের আবেদন ও যাচাই-বাছাই শেষ করা হলেও আবার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি শিগগির জারি করা হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
তপশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতেরও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে বঙ্গভবনে যোগাযোগ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরে আয়োজিত সেমিনারের বিষয় হবে ‘আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’। আলোচনা শেষে একটি উন্মুক্ত সেশন থাকবে। প্রথম সেমিনারের ওপর নির্ভর করবে বাকি চার ধাপের আলোচনা কীভাবে হবে।
দেশি পর্যবেক্ষকদের নতুন সুযোগ
আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাড়াতে চায় ইসি। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবার আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে।
ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য ইসি আগে আবেদন আহ্বান করেছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ১৯৯টি সংস্থা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। পরে আরও ১১টি আবেদন আসে। মোট ২১০টি আবেদনের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৬৮টি সংস্থাকে নির্বাচিত করে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সেসব সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি থাকলে তা লিখিতভাবে জানাতে বলেছিল কমিশন। নির্ধারিত সময়ে দুটি সংস্থার বিষয়ে আপত্তি আসে। এই আপত্তি নিয়ে শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।