সাময়িক হিসাব থেকে চূড়ান্ত হিসাবে কেন মাথাপিছু আয় কমে গেল, এ বিষয়ে বিবিএসের জাতীয় আয় শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাথাপিছু আয় কিছুটা কমেছে। যখন সাময়িক হিসাবটি করা হয়, তখন প্রতি ডলারের দাম ধরা হয় ৮৫ টাকা ৫৩ পয়সা। পরে জুন মাসের ডলার প্রতি দাম ৮৬ টাকা ৩০ পয়সা ধরার কারণে মাথাপিছু আয় ডলারের হিসাবে কিছুটা কমে যায়।
এদিকে চূড়ান্ত হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিও কমেছে। চূড়ান্ত হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। কয়েক মাস আগে সাময়িক হিসাবে এ হার ছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সে কারণে টাকার হিসাবেও মাথাপিছু আয় সামান্য কমেছে। স্থানীয় মুদ্রার হিসাবে মাথাপিছু আয় কমেছে মাত্র ৪২৩ টাকা। সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা।
গত ছয় মাসে বাংলাদেশি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেশ অনেকটা বেড়েছে। তাই চলতি অর্থবছরেও ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় কমতে পারে বলে বিবিএস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মাথাপিছু আয় কারও ব্যক্তিগত আয় নয়। একটি দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে যত আয় হয়, তার ভিত্তিতে মানুষের মাথাপিছু আয় হিসাব করা হয়।