অর্থপাচার আইনে আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার নতুন এ দিন ধার্য করেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানকালে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার আড়াই হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান ছিল। গ্রেপ্তারের পর ঠিকাদারকে বাতিল করা হয়। কিন্তু এসব কাজের বেশিরভাগেরই পরবর্তী সময়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। কয়েকটির ক্ষেত্রে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও কয়েকটিতে নিয়োগ দিতে পারেনি সরকারি সংস্থাগুলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– জি কে শামীমের দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
গ্রেপ্তারের সময় জি কে শামীমের নিকেতনের অফিস থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এরপর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এতে বলা হয়, শামীম তাঁর দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেছেন।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। ওই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গ্রহণ করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। শামীমের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলার মধ্যে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে মামলায় সাত দেহরক্ষী ও তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।