টিভির পর্দায় দেখেই ধারণা করা যাচ্ছিল, গুরুতর আঘাত পেয়েছেন সৌদি আরবের ডিফেন্ডার ইয়াসের আল শাহরানি। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের গালফ নিউজ জানিয়েছে, গোলরক্ষক মোহাম্মাদ আল ওয়াইসের সঙ্গে ওই সংঘর্ষে চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে শাহরানির।
রক্তক্ষরণ হওয়ায় এই ডিফেন্ডারকে জরুরি চিকিৎসার জন্য সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে প্রাইভেট জেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জার্মানিতে।
আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব ম্যাচে যোগ করা সময়ে এই ঘটনা ঘটে। গোলরক্ষকের হাঁটুর সঙ্গে আঘাত লাগে শাহরানির মুখের। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই ডিফেন্ডার। তবে এত গুরুতর চোটের পরও মাঠে খেলা বন্ধ রাখেননি স্লাভকো ভিনিচচ, যা নিয়ে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সৌদি ফুটবলারদের।
শাহরানির এমন চোটে পড়ার ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসেরই বড় অঘটন ঘটিয়েছে সৌদি আরব। কাতারের আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। এমন বিশাল জয় উদ্যাপনের জন্য আজ দেশটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় দলের ফুটবলারদের জয় উদ্যাপনের জন্য ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ছুটির এ প্রস্তাব দেন। এরপর ছুটির বিষয়টি অনুমোদন দেন বাদশাহ সালমান। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, এদিন সব সরকারি-বেসরকারি খাতের কর্মচারী এবং সব পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকবে।
তবে ঐতিহাসিক জয়ের উদ্যাপনটা দলের সঙ্গে করতে পারছেন না শাহরানি। বিশ্বকাপ তো শেষই, ঠিক কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, সেটাও এখন বলা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় হাসপাতাল থেকেই ঐতিহাসিক জয়ে সৌদি আরববাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এই ডিফেন্ডার।
এমন একটা জয় সৌদির সমর্থকদের প্রাপ্য ছিল বলেও মনে করেন তিনি, ‘সবাইকে নিশ্চয়তা দিকে চাই আমি ঠিক আছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। সৌদি সমর্থকদের অভিনন্দন। এমন কিছু আপনাদের প্রাপ্য ছিল।’
সৌদি আরবের পরের দুই ম্যাচ মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের সঙ্গে। গ্রুপ সিতে এক জয় নিয়ে এখন শীর্ষে আছে সবুজ বাজ পাখিরা।