দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। কলকাতায় চলছে তার অভিনীত সিনেমা ‘দশম অবতার’। ছবির প্রচারের জন্য সেখানেই অবস্থান করছেন এই অভিনেতী। বিদেশে থাকলেও দেশে থেকে পায়েছেন সুসংবাদ। অর্থাৎ ২০২২ সালের যৌথভাবে শ্রেষ্ট অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন এই অভিনেতী। এ নিয়ে পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উঠতে যাচ্ছে জয়ার ঘরে।
২০২২ সালের ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পুরস্কার বিজয়ীদের ঘোষণা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এবার ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ট হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু। তিনি ‘শিমু’ ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জয়া আহসান জানান, ‘প্রত্যেকটি পুরস্কার আনন্দের, ভালো কাজের প্রাপ্তি। পুরস্কার ঘোষণার পর চারদিক থেকে সুসংবাদ আসছে। তবে আমি ‘বিউটি সার্কাস’ টিমকে ধন্যবাদ জানাই। তারা না থাকলে এটা অর্জন হয়ত সম্ভব ছিলো না।’
জয়া-শিমু ছাড়াও ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। শিমু চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান (‘পরান), ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা মিমি।
আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনাকে (রওশন আর রোজিনা)। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে এস. এম. কামরুল আহসানের ‘ঘরে ফেরা’। আর শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুভাশিষ ভৌমিক, দেশান্তর সিনেমার জন্য। আর শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন সাইফুল ইমাম (দিপু ইমাম), অপারেশন সুন্দরবন চলচ্চিত্রের জন্য।
যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হয়েছে যথাক্রমে রোহিঙ্গা ও বীরত্ব সিনেমার জন্য বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা এমিলিয়া। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাশ খান (রিপন খান), ‘পায়ের ছাপ’ চলচ্চিত্রের জন্য। শ্রেষ্ঠ গায়ক শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার)। অপারেশন সুন্দরবনে ‘এ মন ভিজে যায়.’ গানের জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শ্রেষ্ঠ গায়িকা হয়েছেন আতিয়া আক্তার আনিসা। শ্রেষ্ঠ গীতিকর রবিউল ইসলাম জীবন ও শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন।