সারাদিন সবাই নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। কাউকে কাউকে সারাদিনই রাস্তায় ঘুরে কাজ করতে হয়। এতে ত্বকে নানা প্রভাব পড়ে। এ কারণে ঘুমোনোর আগে,নিজের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সৌন্দর্য রক্ষায় রাতে কিছু কাজ অবশ্যই করা জরুরি। যেমন-
ব্রাশ করা: সুন্দর দাঁত আপনার সৌন্দর্যের অঙ্গ। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করবেন। মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়, সৌন্দর্য নষ্ট করে। এ কারণে সৌন্দর্য সচেতনতার রুটিনের মধ্যে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করার বিষয়টি রাখা জরুরি।
নিয়মিত মুখ ধোয়া: রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ ধোবেন। এতে মুখের ময়লা দূর হবে। তবে মুখ ধোয়ার বিষয়টি খুব যত্নের সঙ্গে করতে হবে। ক্লিনজার ব্যবহার করলে আলফা হাইড্রোক্সিল, ল্যাকটিক অ্যাসিড অথবা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড আছে- এমন ক্লিনজারই ব্যবহার করুন। ত্বকের ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার করা না করলে, ফুসকুড়ি বা ব্রণের সমস্যা হতে পারে। যাদের ত্বক তেলতেলে তারা মাইল্ড ক্লিনজারযুক্ত সাবান দিয়ে মুখ ধোবেন। কিন্তু শুষ্ক ত্বকে সাবানের বদলে ক্লিঞ্জিং লোশন বা ক্রিমই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
ত্বকের যত্ন ও সুরক্ষা
ঘুমানোর আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। এটি ত্বকের কোশকে পুনর্গঠনে সাহায্য করবে।তবে মনে রাখবেন, মুখে কিছু লাগানোর আগে ত্বককে পুরোপুরি শুষ্ক হতে হবে।
চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে ঘুমানোর আগে শশা বা ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। পাশাপাশি আই ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চোখের ত্বক ভালো থাকবে।
রাত্রে লাগানোর ক্রিম ভিটামিন ই যুক্ত হলে উপকার হয়। কারণ ভিটামিন ই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে।
প্রতি রাতে পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এছাড়া নিয়মিত যত্ন হিসেবে সপ্তাহে দু-একবার যেটা করতে পারেন তা হলো- রাতে পা প্রথমে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে, ২ টেবিল চামচ অল্প গরম করা অলিভ অয়েলও ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটা পায়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এতে মৃতকোষ ঝরে গিয়ে, গোড়ালি নরম হবে, রক্ত চলাচল ভালো হবে।হাতের যত্নও নিতে পারেন একইভাবে।
নখ ফেটে বা ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমাতে ঘুমানোর আগে হাত-পায়ের নখেও অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। সারা রাত নখ আর্দ্রতা পাবে।
ঠোঁট নরম ও গোলাপি আভা-যুক্ত থাকবে যদি প্রতি রাতে ভ্যাসলিনের সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নেন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষ ঝরে উজ্জ্বলতা আসবে।