ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এখন শিশুদের সমাধিক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) মুখপাত্র জেমস ইল্ডার। ক্রমবর্ধমান শিশু নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ মঙ্গলবার জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গাজায় ২৫ দিন ধরে চলা ইসরায়েলের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারে বেশি শিশু রয়েছে।
ইউনিসেফ বলছে, গাজায় এখনো ৯৪০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সুপেয় পানি সরবরাহের পরিমাণ ৫ শতাংশে নেমে আসায় শিশুরা পানিস্বল্পতায়ও ভুগছে।
গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থাটি। ইউনিসেফ মুখপাত্র আরও বলেন, গাজার শিশুরা শুধু ইসরায়েলি হামলাতেই নিহত হচ্ছে না, চিকিৎসাসেবার অভাবেও তারা মারা যাচ্ছে।
‘আমরা মরতে চাই না’
গাজার কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেখানকার পরিবারগুলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে গ্রিফিথস লেখেন, ‘যখন আট বছর বয়সী একটি শিশু আপনাকে বলে সে মরতে চায় না, তখন অসহায়ত্ব আড়াল করাটা কঠিন।’
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে গ্রিফিথস বলেন, ‘বিরামহীন বোমা হামলার মধ্যে গাজার বাসিন্দারা ক্রমেই খাবার, পানি ও আশ্রয়ের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠছেন।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে বেশি মাশুল দিতে হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের। গত সোমবার রাতে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিমান হামলায় একই পরিবারের ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দাদা-দাদি ও নাতি-নাতনিরাও রয়েছেন।
আল জাজিরা