কৃষ্ণসাগরে মার্কিন ড্রোন ভেঙে পড়া নিয়ে যা জানা গেল
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় নিয়মিত অভিযানে অংশ নিতে গেলে রুশ যুদ্ধবিমানের প্রপেলারের আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ড্রোনটি। পরে তারা সেটি ভূপাতিত করতে বাধ্য হয়। রাশিয়ার এ পদক্ষেপ ‘অনিরাপদ ও অপেশাদার’। তবে রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেন, ‘আমি জানি না, আমরা শেষ পর্যন্ত এ কাজে সফল হব কি না। তবে আমরা কৃষ্ণসাগরে ভেঙে পড়া মার্কিন ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজব।’
এ সময় নিকোলাই পাত্রুশেভ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কৃষ্ণসাগরে মার্কিন নজরদারি ড্রোনের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে চলমান যুদ্ধে (ইউক্রেন যুদ্ধ) যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) সমন্বয়ক জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভেঙে পড়া ড্রোনটি খোঁজা হচ্ছে। যদি রাশিয়াও একই কাজ করে, তাহলে উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় তাদের সেই সক্ষমতা কমিয়ে আনা হবে।
রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ, কৃষ্ণসাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন ড্রোন
উত্তাল সাগরের ৪ থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার প্রক্রিয়াকে ‘অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল মার্কিন মিলে।
ড্রোন ভেঙে পড়ার এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়া উপকূলে মার্কিন নজরদারি ড্রোন উড়ানোকে ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।