রামায়নে লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিল হনুমান। এবার লঙ্কান ক্রিকেটে আগুন লাগিয়ে দিল আফগানিস্তান। হারের বৃত্তে বিশ্বকাপ শুরু করা শাহেদি-রশিদদের আফগানিস্তান বিশ্বকাপে তুলে নিল আরেকটি ঐতিহাসিক জয়। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
গত দুই বিশ্বকাপে আফগানিস্তান মাত্র একটি জয় পেয়েছিল। চলতি আসরের প্রথম দুই ম্যাচ হারে শুরু করেছিল। তারাই ছয় ম্যাচ শেষে তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানসহ তিন জয়। পয়েন্ট টেবিলে উঠে গেছে পাঁচে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গার পথ অনেকটা পরিষ্কার করে ফেলেছে।
সোমবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তিন বল থাকতে ২৪১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। দলের ২২ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি ছোট ছোট জুটিতে লড়াই করার ওই পুঁজি স্কোরবোর্ডে জমা করে। কিন্তু রহমত শাহ-হাসমতউল্লাহ শাহেদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই-এর ফিফটিতে ২৮ বল থাকতে জয় তুলে নিয়েছে আফগানরা।
এর আগে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কা সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। তিনে নামা কুশল মেন্ডিস ও চারে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমা সেট হয়ে ফিরে যান। তারা যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৬ রান করেন। পরে চারিথা আশালঙ্কা ২২, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২৩ ও মহেশ থিকসানা ২৯ রান করলে আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি পায় লঙ্কানরা।
জবাব দিতে নেমে শূন্য রানে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ ৭৩ রান যোগ করে ওই ধাক্কা সামাল দেন। ইব্রাহিম ফিরে যান ৩৯ রান করে। ফিফটি করা রহমত শাহ ৭৪ বলে সাত চারে ৬২ রান করেন। তিনি ফেরেন দলের ১৩১ রানে। তখনও ম্যাচ শ্রীলঙ্কার হাতছাড়া হয়নি।
তবে চারে নামা অধিনায়ক শাহেদি ও পাঁচে নামা মিডিয়াম পেস অলরাউন্ডার ওমরজাই ১১১ রানের হার না মানা জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে ফিরেছেন। শাহেদির ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৫৪ রান। ওমরজাই খেলেন ৬৩ বলে ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বল হাতে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়া ফজলহক ফারুকি ম্যাচ সেরা হয়েছেন।