পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রেসিডেন্ট পারভেজ এলাহিকে একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লাহোরে তাঁর বাড়ির বাইরে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েকবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মির জিও নিউজকে বলেন, সাবেক প্রাদেশিক প্রধান নির্বাহীকে পুলিশের সহায়তায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা গ্রেপ্তার করে। তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। একটি দুর্নীতি মামলায় তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই তাঁকে খোঁজা হচ্ছিল। আজ পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ধরা হয়।
তথ্যমন্ত্রী ডননিউজটিভিকে বলেন, ‘তাঁকে গ্রেপ্তারের কৌশল হিসেবে কয়েক দিন ধরেই তাঁর বাড়ি “ঘিরে রাখা” হয়েছিল। আজ গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় অন্য আরেকটি গাড়িতে কয়েকজন নারীও ছিলেন। তিনি (এলাহি) আজ বাড়ি ছাড়তে পারেন, এমন তথ্য আমাদের কাছে ছিল।’
আমির মির বলেন, কর্তৃপক্ষের কয়েকজন তাঁর গাড়ির গতি রোধ করে তল্লাশি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গাড়িতে থাকা লোকজন এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ এ সময় চালকের আসনের দিকে কাচটি ভাঙার চেষ্টা করে। তখন এলাহি গাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।
এলাহির মুখপাত্র ইকবাল চৌধুরী অভিযোগ করেন, এলাহিকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা নারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ। তথ্যমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, এলাহিকে এখন আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এরপর তাঁর আইনজীবী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
এদিকে এলাহি গ্রেপ্তার হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর ছেলে মোনিস এলাহি জানিয়েছে, তাঁর বাবা পিটিআইয়েই থাকবেন। তিনি টুইট করে বলেন, তাঁর বাবাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তাঁরা পিটিআইয়েই আছেন এবং থাকবেন।
পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব এলাহির গ্রেপ্তারকে ‘প্রতিশোধের অংশ’ বলে মন্তব্য করেন। গত ৯ মে দলের প্রধান ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলে দলটিরে নেতাদের ধরপাকড় শুরু হয়। বর্তমানে দলটির শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়ে আছেন।