‘এভাবে খেললে আইপিএলেই আর এসো না

0
100
ফিফটির পরও সমালোচনার মুখে ডেভিড ওয়ার্নার

তিন ম্যাচে তিন হার, আইপিএলে এবারের মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের শুরুটা হয়েছে ভয়াবহ। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ৬ উইকেট, লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে ৫০ রানের পর সর্বশেষ রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে দলটি। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনা হচ্ছে দিল্লির পারফরম্যান্স নিয়ে।

তবে দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে করা বীরেন্দর শেবাগের মন্তব্য হয়তো ছাড়িয়ে গেছে সব কিছুকেই! এমন খেলতে থাকলে যে ওয়ার্নারকে আর আইপিএলে না আসার কথাই বলেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার।

শনিবার গুয়াহাটিতে ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা দিল্লির হয়ে অধিনায়ক ওয়ার্নার খেলেছেন ৬৫ রানের ইনিংস। দলের আটজন দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি। তবুও ওয়ার্নারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁর খেলার ধরনে, ৬৫ রান করতে এ বাঁহাতি খেলেছেন ৫৫ বল।

শেবাগ ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এখন ওয়ার্নারকে ইংরেজিতে বলার সময় এসেছে, যাতে সে বুঝতে পারে এবং আঘাত পায়। “ডেভিড, যদি তুমি শুনে থাকো, তাহলে দয়া করে ভালো খেলো। ২৫ বলে ৫০ করো।”’

মৌসুমে প্রথম তিনটি ম্যাচই হেরেছে ওয়ার্নারের দিল্লী

মৌসুমে প্রথম তিনটি ম্যাচই হেরেছে ওয়ার্নারের দিল্লী
ডেভিড ওয়ার্নারকে বীরেন্দর শেবাগ যে উইকেটে রাজস্থান ২০০ রান তুলেছে, দিল্লি সেখানে ২০ ওভার ব্যাটিং করেও ১৪২ রানে আটকে গেছে। ৩৬ বছর বয়সী ওয়ার্নারকে তরুণ ভারতীয় ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সোয়ালের কাছ থেকেও শিখতে বলছেন শেবাগ, ‘জয়সোয়ালের কাছ থেকে শেখো, সে ২৫ বলে ফিফটি করেছে। আর সেটি যদি করতে না পারো, তাহলে আইপিএলে খেলতে এসো না।’

এখানেই শেষ করেননি শেবাগ, ‘৫৫-৬০ রান করার চেয়ে যদি ৩০ রানেই ডেভিড আউট হয়ে যেত, দলের জন্য ভালো হতো। রোভম্যান পাওয়েল ও ঈশান পোরেলের মতো খেলোয়াড়েরা আরও আগে নামতে পারত, হয়তো কিছু করতে পারত। তারা দলের বিগ হিটার, কিন্তু তাদের জন্য বল বাকি ছিল না।’

ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ

ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ

দিল্লির হারের পুরো দায় ওয়ার্নারের ওপর চাপাচ্ছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার রোহান গাভাস্কারও, ‘যদি ৮ বলে ৮ রান করে আউট হন, তাহলে যে কেউ বলতেই পারেন যে ছন্দ খুঁজে পায়নি। তবে আপনি দলের অধিনায়ক, আপনার অভিজ্ঞতা আছে। তারা দেখাল তারই দ্রুততম ৬ হাজার আইপিএল রান আছে, ফলে সে এমন ইনিংস খেলবে ভাবাও যায় না। যদি অধিনায়ক না হতো, দিল্লি তাহলে হয়তো তাকে ব্যাটিং থেকেই উঠিয়ে নিত! যদি এটা তরুণ কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান হতো, তাহলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেত সেখানেই। ওয়ার্নারকেই এ হারের দায়িত্ব নিতে হবে।’

সুস্থ থাকলে দিল্লিকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল ঋষভ পন্তের। তবে গত ডিসেম্বরে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পন্তের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে আরও আগেই। তাঁর অনুপস্থিতিতে দিল্লিকে খাপছাড়াই মনে হচ্ছে তাই।

কেন এমন হচ্ছে, জানেন না কোচ রিকি পন্টিংও। রাজস্থানের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে অনেকটাই পিছিয়ে আছি, তবে কেন, সেটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। ছেলেদের অনুশীলন ও প্রস্তুতিতে কাজকর্ম সত্যিই ভালো, তবে মাঠে ফল আসছে না। যদি জানতাম (কী সমস্যা), তাহলে তো বদলাতাম।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.