অ্যারোসল ক্যান ডিএসসিসির ভান্ডারে পড়ে আছে, বিতরণ বন্ধ

0
601
ডিএসসিসি

গত ২৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত দুই লাখ অ্যারোসল ক্যান কিনেছে ডিএসসিসি। বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় ৩০ জুলাই থেকে। সংস্থাটির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার বলেন, ৩০ হাজারের মতো বিতরণ করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন বলছে, ঈদুল আজহার কারণে তাদের কর্মকর্তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই ঈদের পর ক্যান বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রতিটি অঞ্চলে অ্যারোসল ক্যান পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বিতরণ করা হবে।

ঈদের আগে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যারোসল ক্যান বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের পর নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানে অ্যারোসল বিতরণ করা হয়নি। দক্ষিণ সিটির বাসিন্দারা চাইলে নগর ভবন থেকে এসব ক্যান সংগ্রহ করতে পারবেন।

ডিএসসিসির অঞ্চল ছিল পাঁচটি। নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ার পর সম্প্রতি আরও পাঁচটি অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, বেশির ভাগ অঞ্চলে এখনো অ্যারোসল ক্যান পাঠানো হয়নি। তাই সব এলাকায় বিতরণ শুরু হয়নি। অঞ্চল-৩ (আজিমপুর)–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর গতকাল রাতে বলেন, তাঁরা এখনো অ্যারোসল ক্যান পাননি। পেলে বিতরণের উদ্যোগ নেবেন।

শনির আখড়ার বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, আঞ্চলিক কার্যালয় ছাড়াও ডিএসসিসি বলছে, যেকোনো নাগরিক নগর ভবন থেকে ক্যান সংগ্রহ করতে পারবেন। শনির আখড়া থেকে এসে গুলিস্তানের নগর ভবন থেকে একটি ক্যান সংগ্রহ করতে যে টাকা যাতায়াতে খরচ হয়, তা দিয়ে এলাকার দোকান থেকেই অ্যারোসল ক্যান কেনা যায়। এই বাসিন্দা মনে করেন, যেভাবে ক্যান বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এভাবে সারা বছরেও বাকি ১ লাখ ৭০ হাজার ক্যান বিতরণ করা সম্ভব হবে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগর ভবনের নিচতলায় পূর্ব দিকে ভান্ডার ও ক্রয় শাখায় শত শত কার্টন অ্যারোসল ক্যান মজুত করে রাখা হয়েছে। একজন নিরাপত্তাকর্মী এসব ক্যান পাহারা দিচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর সেখান থেকে একটি ক্যানও বিতরণ করতে দেখা যায়নি।

সিটি করপোরেশন গত ২২ দিনে ৩০ হাজার ক্যান বিতরণ করেছে। এই গতিতে বাদবাকি ১ লাখ ৭০ হাজার ক্যান বিতরণ করতে অন্তত আরও পাঁচ মাস লাগবে। তত দিনে চলতি বছর পেরিয়ে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজস্ব বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানগুলো পড়ে থাকার কারণে চুরির ঘটনাও ঘটছে। ক্যান যাতে চুরি হয়ে না যায়, তাই সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করেছেন।

অ্যারোসল ক্যান বিতরণে ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কারণে তাঁকে বদলি করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। মশার ওষুধ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কারণে তিনি খুব বিপদে আছেন।

পরে ডিএসসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে মেয়রের নিষেধ আছে। তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এরপর জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অ্যারোসল নিয়ে কী কী তথ্য লাগবে, তা লিখিত আকারে তাঁর দপ্তরে জমা দিতে বলেন। পরে লিখিত আকারে জমা দেওয়া হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করেননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.