তীব্র জ্বর আর পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪০ বছর বয়সী এক রোগী। চিকিৎসকেরা তাঁর পেটে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসকদের চোখ ছানাবড়া। পেটের ভেতর পাওয়া গেল ইয়ারফোন, লকেট, স্ক্রু, রাখিসহ প্রায় এক শ বস্তু। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের মোগা শহরের মেডিসিটি হাসপাতালে ঘটেছে এমন ঘটনা।
দিন দুয়েক বমি বমি ভাব থাকার পর তীব্র জ্বর আর পেটে ব্যথা শুরু হয় ওই ব্যক্তির। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও ব্যথা কমছিল না। চিকিৎসকেরা পেট ব্যথার কারণ জানতে এক্সরে স্ক্যান করাতে বলেন। পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তাঁর পেটে কিছু ধাতব বস্তু আটকে আছে। এর পর চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়া চলে। তাঁর শরীর থেকে প্রায় ১০০টি জিনিস বের করে আনা হয়।
পেট থেকে পাওয়া জিনিসগুলোর মধ্যে আছে—ইয়ারফোন, ওয়াশার, নাট-বল্টু, তার, রাখি, লকেট, বোতাম, মোড়ক, হেয়ারক্লিপ, জিপার ট্যাগ, মার্বেল এবং সেফটিপিন।
মেডিসিটি হাসপাতালের পরিচালক আজমির কালরা বলেন, এর আগে তিনি কখনো এই ধরনের ঘটনা দেখেননি। ওই ব্যক্তি গত দুই বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। ওই রোগীর শরীর থেকে সব ধাতব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে তাঁর অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয় বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তিনি আরও বলেন, ওই বস্তুগুলো দীর্ঘদিন ধরে রোগীর পেটে ছিল। এ কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্বজনেরাও হতবাক হয়েছে। কখন এবং কেন ওই ব্যক্তি জিনিসগুলো খেয়েছেন, তা তাঁরা জানেন না।
কীভাবে তিনি এগুলো খেয়েছেন, তা বুঝতে পারছেন না তাঁর মা-বাবাও। তবে তাঁরা বলেছেন, তাঁদের ছেলে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
মা-বাবা আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তির আগে ওই ব্যক্তি পেটে ব্যথার কথা বলেছিলেন। তিনি ঘুমাতে পারছিলেন না। তাঁকে কয়েকজন চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউই এর কারণ শনাক্ত করতে পারছিলেন না।