হজ করতে সৌদি আরবে গিয়ে ৯ দিনে বাংলাদেশের আটজন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত ৩১ মে থেকে ৮ জুনের মধ্যে তাঁরা মারা যান। তাঁদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও দুইজন নারী।
প্রয়াত এই হজযাত্রীদের মধ্যে ছয়জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, একজন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আরেকজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
তাঁরা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), রাজধানীর ডেমরার শাহানারা বেগম (৬৩), পাবনার চকছাতিয়ানী মাঠপাড়ার ডা. শফিকুল ইসলাম (৬৩), শেরপুরের ঝিনাইঘাতির আলী হোসাইন (৬৭), রাজধানীর খিলগাঁওয়ের আইয়ুব খান (৪৮), পঞ্চগড়ের ছোটদাপের শহীদুল আলম (৬৭), বগুড়ার আদমদিঘীর রোকেয়া বেগম (৬২) ও নওগাঁর আত্রাইয়ের আদম উদ্দিন মন্ডল (৬২)।
প্রয়াত হজযাত্রীদের মধ্যে আব্দুল ওয়াহেদ, শাহানারা বেগম, ডা. শফিকুল ইসলাম, আলী হোসাইন, আইয়ুব খান ও আদম উদ্দিন মন্ডল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন শহীদুল আলম। রোকেয়া বেগমের মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।
তাঁদের কেউ মক্কায় হজ এজেন্সির ভাড়া করা হোটেলে, কেউ ভাড়া করা হোটেল থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে আসার পথে, কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে, কেউ কিং আবেদন আজিজ হাসপাতাল, কেউ বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে এবং কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে কর্মরত চারজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রয়াত হজযাত্রীদের সৌদি আরবের মক্কায় শরাইয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মোয়াল্লিম মওলানা ও মুফতি হোছাইন আহমদ বলেন, হজযাত্রীরা মহান আল্লার মেহমান। এ জন্য সৌদি আরব সরকার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রয়াত হজযাত্রীদের কাফন ও শরাইয়া কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করে থাকে।