ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে দেশটির একটি সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই উড়োজাহাজে রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী হওয়া ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৬৫ সদস্য, ৬ জন ক্রু এবং যুদ্ধবন্দীদের পাহারায় নিয়োজিত ৩ ব্যক্তি ছিলেন।
মস্কোর ভাষ্যমতে, এই ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের বন্দিবিনিময়ের জন্য নেওয়া হচ্ছিল। পেছনে আরেকটি উড়োজাহাজে ৮০ জন ইউক্রেনীয় বন্দী ছিলেন। ওই ঘটনার পর দ্বিতীয় উড়োজাহাজটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে উড়োজাহাজের আরোহীরা সত্যিই বন্দী ইউক্রেন বাহিনীর সদস্য কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বেলগোরোদের ৭০ কিলোমিটার উত্তর–পূর্বের ইয়াবলোনোভো গ্রামের কাছে উড়োজাহাজটি ভূমির দিকে নামছে। আরেকটি ভিডিওতে সড়কের পাশের একটি জায়গা থেকে আগুনের শিখা ওপরে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
রুশ পার্লামেন্টের এক সদস্য উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের সেনারা উড়োজাহাজটিতে গুলি করেছিলেন। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমায় দেওয়া বক্তব্যে রুশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলোভ বলেন, ইউক্রেন তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উড়োজাহাজটিকে ভূপাতিত করেছে। পশ্চিমারা ইউক্রেনকে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রও সে ধরনের। সেগুলো প্যাট্রিয়ট নাকি আইআরআইএস–টিএস ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, তা তদন্তকারীরা বের করবেন।