সিইসি বলেন, সাধারণভাবে বলা চলে ছয়টি আসনে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোটে অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তাঁরা অনুমান করছেন, ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট গণনা শেষে এটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।
সিইসি বলেন, তাঁরা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়েছেন। টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে নজর রেখেছেন। অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েকটি জায়গায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। দুয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ দেখা গেছে—এমন সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ওই এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছেন। একটি কেন্দ্রে একজন নারী ভোটার তাঁর দুই বাচ্চাকে নিয়ে বুথে ঢুকেছেন। আরেকটি কেন্দ্রে এক ভদ্রমহিলা একজন অসুস্থ লোককে ভোট দিতে ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘এগুলো হতে পারে। এগুলোকে আমরা খুব গুরুতর বা ব্যাপক অনিয়ম মনে করছি না। ভোটের ফলাফল পাল্টে যেতে পারে এ ধরনের ঘটনা আমাদের কাছে মনে হয়নি।’
অভিযোগ উঠেছে, ভোটের মাঠে ইসির হাতে নিয়ন্ত্রণ নেই। একজন প্রার্থী নিখোঁজ ছিলেন। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই এটা আমি মেনে নিতে রাজি না। আমরা এখান থেকে বসে সর্বোত্তমভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। সংযোগ রক্ষা করে চলেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি।’
সিইসি বলেন, ইসিকে নির্ভর করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর। ইসিকে প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়, নির্ভরও করতে হয়। নিরপেক্ষ থাকতে তাদের বারবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে তাঁরা যে সহায়তা পাচ্ছেন, তা নির্ভরযোগ্য, তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট।