শৈশব–কৈশোরের স্মৃতিতে কাতর হন না, এমন মানুষ পাওয়া দায়। তাই ছোটবেলার কিছু খুঁজে পেলে, তা এনে দেয় বাড়তি আনন্দ। এই আনন্দের অনুভূতি কেমন, সেটা খুব ভালোভাবে জেনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা জিম কেলিন। ছোটবেলায় হারিয়ে ফেলা একটি আংটি ৫১ বছর পর খুঁজে পেয়েছেন তিনি!
জিম কেলিন পড়তেন নিউ জার্সির ওয়াচুং হিলস হাইস্কুলে। ১৯৭২ সালে স্কুলজীবন শেষ হয় তাঁর। এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের সবাইকে স্কুল থেকে একটি করে আংটি দেওয়া হয়েছিল। সেই আংটি পরে কয়েকজন সতীর্থ ও বন্ধুকে নিয়ে সৈকতে গিয়েছিলেন কেলিন। একপর্যায়ে সেখানে তাঁর আংটিটা হারিয়ে যায়।
জিম কালিনের বয়স এখন ৬৮ বছর। স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলজীবন শেষ করার পর আর দশটা কিশোরের মতোই আমরা উদ্যাপন করছিলাম। একপর্যায়ে আমার আংটি হারিয়ে ফেললাম। ভেবেছিলাম, সেটি যদি সৈকতে হারিয়ে যায়, তাহলে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।’
আংটিটা মাস দুয়েক আগে খুঁজে পান অ্যান্থনি ডি মারিয়া সাদোরস্কি নামের ২১ বছরের এক তরুণ। নিউ জার্সিতে বাড়ির কাছেই একটি নালার ধারে সূর্যাস্তের ছবি তুলছিলেন তিনি। এ সময় চকচকে কিছু একটা তাঁর চোখে পড়ে। দেখতে পান যে সেটা আংটি। পরে আংটিটার মালিকের সন্ধানে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। সাদোরস্কির ওই ফেসবুক পোস্ট নজরে আসে জিম কেলিনের সহপাঠীদের। দেরি না করে তাঁরা কেলিনকে বলেন, ‘তিনি (সাদোরস্কি) যাঁকে খুঁজছেন, তুমিই হয়তো সেই ব্যক্তি।’
সৈকতের যেখানে আংটিটা হারিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে ভূখণ্ডের কয়েক মাইল দূরে আংটিটা পাওয়া গেছে। এই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘স্যান্ডি’ আঘাত হেনেছিল। সেটির প্রভাবেই আংটিটা এত দূরে চলে এসেছে বলে মনে করেন কেলিন। আংটিটাকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় পেয়ে খুবই খুশি তিনি। বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য! আমি এখন আংটিটি পরব।’