
বল হাতে ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট, এরপর ব্যাট হাতে ১৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান—ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) গতকাল সেন্ট কিটস অ্যান্ড প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে এমনই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাঁর দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুদা ফ্যালকনস ৭ উইকেটে জেতার পর ম্যাচসেরা বেছে নিতেও তাই কষ্ট হয়নি বিচারকদের। ম্যাচে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা সাকিবই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি সাকিবের ৪৪তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের সমান ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার আছে আন্দ্রে রাসেলেরও। তবে ৪৪ বার ম্যাচসেরা হতে রাসেলের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ লেগেছে সাকিবের। এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া খেলোয়াড় তাঁর সামনে মাত্র চারজন। এর মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুজন তো খুব কাছেই।
৪৪তম ম্যাচসেরায় রাসেলের বিষয়টিই আগে আরেকটু দেখে নেওয়া যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার ২০১০ সাল থেকে দুনিয়াজুড়ে টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে ৫৬৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, ব্যাট হাতে ৯৩৬১ রান আর বল হাতে ৪৮৭ উইকেট নেওয়ার পথে ম্যাচ জিতিয়ে সেরা হয়েছেন ৪৪ বার।
আর ২০০৬ থেকে টি-টোয়েন্টি খেলে আসা সাকিব ৪৪তম ম্যাচসেরার দেখা পেয়ে গেছেন ৪৫৭ ম্যাচেই। রাসেলের চেয়ে ১০৭ টি-টোয়েন্টি কম খেলা সাকিবের রান ব্যাট হাতে ৭৫৭৪, বল হাতে ৫০২ উইকেট। বলে রাখা ভালো, ৭ হাজার রানের সঙ্গে ৫০০ উইকেট নেওয়ায় সাকিবই টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার।

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার দিক থেকে সাকিব ও রাসেল যৌথভাবে পঞ্চম। দুজনের মধ্যে যে কেউ যেকোনো সময় এগিয়ে যেতে পারেন। কারণ, সাকিবের মতো রাসেলও সিপিএলে খেলছেন। ম্যাচসেরার দিক থেকে চতুর্থ স্থানে অ্যালেক্স হেলস। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত ৫০৬ ম্যাচ খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৪৫ বার। তিনিও সিপিএলে আছেন, খেলছেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ বার ম্যাচসেরার স্বীকৃতি আছে কাইরন পোলার্ডের। হেলসের সতীর্থ হিসেবে ত্রিনবাগোতে খেলা এই অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৭১০ ম্যাচ। পোলার্ড সামনে কত দিন খেলা চালিয়ে যাবেন, প্রশ্ন আছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় খণ্ডকালীন কাজও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

পোলার্ডের চেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এখনো অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি দলে খেলে চলা এখন পর্যন্ত ৪৮৬ ম্যাচে ৪৮ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন, যার সর্বশেষটি গত ১৬ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ম্যাচসেরার তালিকায় ম্যাক্সওয়েলেই এখন পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দুটিই চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সাকিবের সামনে ম্যাক্সওয়েল, পোলার্ড ও হেলস ম্যান অব দ্য ম্যাচ সংখ্যায় কাছে হলেও প্রথমজন বেশ খানিকটা দূরেই। ৪৬৩ ম্যাচে ৬০ বার ম্যাচসেরা হয়ে রেকর্ডটা অনেক দিন ধরেই নিজের করে রেখেছেন ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের বেশ কিছু রেকর্ডের মালিক গেইল ২০২২ সালের পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলেননি।