২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: আতিউর-বারাকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

0
9
সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত

২৯৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ মোট ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ।

এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহা রয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। গোপনসূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এজাহারনামীয় ২৩ আসামির বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।  মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া জমিতে ভবন বা কারখানা না থাকা সত্ত্বেও সেখানে স্থাপনা দেখিয়ে অতিমূল্যায়ন করেন। এর মাধ্যমে তিন কোটি টাকার জমিকে ১৬০০ কোটি টাকার বেশি দেখিয়ে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দিলে আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.