প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২৫ দিনে দেশে ২০৩ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। এরপরও চলতি মাসে গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে। কারণ, সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা মোট ২৬৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম ২৫ দিনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার ও বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলো ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এনেছে।
ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ডলারের উচ্চ দামও বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত করছে। এসব কারণে কয়েক মাস ধরে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এর ব্যতিক্রম হয়নি চলতি মাসেও।
এক বছর ধরে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। এর মধ্যে গত মার্চে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়। ওই মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এরপর প্রবাসী আয় ১ মাসে আর ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি। প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার কমে আসায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ অক্টোবর মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ অবশ্য ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।















