বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী ২৪ শতাংশ শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম। ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম- এমন শিশু ছিল যথাক্রমে ৪১, ৩৬ ও ৩১ শতাংশ। সে হিসাবে খর্বকায় শিশুর হার কমছে।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রকাশ করা হয়। তাতে এ চিত্র উঠে আসে।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট), সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি ও আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। নিপোর্টের এ জরিপে দেশের শহর ও গ্রামের ৩০ হাজার ১৮টি খানার ওপর তথ্যে নেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয় ২০২২ সালের ২৭ জুন থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে। জরিপে সহায়তা করেছে ইউএসএআইডি।
শিশুপুষ্টির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দেশে কম ওজনের শিশুর হার কমছে না। বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী কম ওজনের শিশু ২২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ সালেও এ হার ছিল ২২। অন্যদিকে, কৃশকায় শিশুর হার বাড়ছে। ২০১৭-১৮ সালে কৃশকায় শিশু ছিল ৮ শতাংশ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১ শতাংশ। এটি পুষ্টি পরিস্থিতির অবনতির লক্ষণ।
জরিপে দেখা গেছে, শহর ও গ্রামের ৯৯ শতাংশ খানায় বিদ্যুৎ আছে। দেশের ৯৮ শতাংশ খানায় কমপক্ষে একটি করে মুঠোফোন আছে। নতুন বিবাহিত তিনজন নারীর দুজনের হাতে মুঠোফোন দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নিপোর্টের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।