২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের গ্রেনেড হামলার মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদন এবং দণ্ডিতদের আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার শুনানি আজ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার এফআইআর পড়ার পর চার্জশিটের কিছু অংশ পড়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চার্জশিট পড়া শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে হাইকোর্টের শীতকালীন ছুটি শুরু হবে। তাই আগামী বছরের প্রথম দিকেই উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হবে বলে আশা করছি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যাশা জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশা করবো বিচারিক আদালতের রায় যেন বহাল থাকে।
এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তার কোনো আপিল দেখিনি। তাই ওনার বিষয়টা এখানে আসবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।
এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে আরও ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। গত বছরের ১৬ আগস্ট পেপারবুক বিজিপ্রেস থেকে তৈরির পর সুপ্রিমকোর্টে আসে।