দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশী ফ্যাশন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই ক্রমাগত উদ্ভাবন ও টেকসই চর্চার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে, দেশীয় পণ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাংলাদেশি সাস্টেনিবিলিটি ফ্যাশন শো’।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ কনস্যুলেট লেডিস গ্রুপ, দুবাইয়ের সভাপতি আবিদা হোসেনের ব্যবস্থাপনায় ২০টি দেশের কূটনীতিক পত্নীদের নিয়ে জমকালো এ আয়োজন করা হয় বিশ্বের অন্যতম সাত তারকা হোটেল আটলান্টিস দ্যা পাম হোটেলে।
আয়োজনের মধ্যে ছিল ফ্যাশন শো, দেশীয় পণ্য জুট ব্যাগ ও মাটির তৈরি পণ্যের উপস্থাপনা৷
কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনার দেশ। এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ এবং কারিগরদের দক্ষতা স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। তা ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বময়।
আয়োজক আবিদা হোসেন বলেন, পলিয়েস্টারের পোশাক তৈরিতে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয়। যা পুড়নো অবস্থায় ফেলে দেওয়ার পর এগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যেতে অনেক সময় লাগে। জৈব তুলা উৎপাদনে অন্যান্য তুলার চেয়ে কম পানি লাগে এবং এতে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। পোশাক কেনার সময় পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদ আছে কি না, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব টেকসই পণ্যের প্রতি জোর দিচ্ছে। আমরা বিশ্বকে সেটিই জানান দিতে চাই।
জমকালো আয়োজনে ড. হুমায়রা নাজনিনের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ, মিশর, বাহরাইন, ভারত, ইতালি, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, মরক্কো, সিঙ্গাপুর, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, রাশিয়া, গ্রানাডা, নেদারল্যান্ডস, পেরু, সাউথ কোরিয়া, রোমানিয়াসহ দুবাইয়ে নিযুক্ত বিশ্বের ২০ টি দেশের কনসাল জেনারেলদের সহধর্মিণীগণ অংশগ্রহণ করেন।