কাতার, সৌদি আরব, কানাডা এবং কাফকো থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া ও এমওপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এর আগের লটের তুলনায় বেশ খানিকটা কম দামে এসব সার কেনা হচ্ছে।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সার কেনাসহ ১৬টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, কাতারের মুনজাত থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৩০৮ দশমিক ৬৭ ডলার দরে এতে ব্যয় হবে ৯৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর আগের লটে প্রতি টনের দাম ছিল ৫৬৩ ডলার। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এ সার আমদানি করবে।
অপর এক প্রস্তাবে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান। প্রতি টন ৩০৯ ডলার দরে এই সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়া সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ২৯৬ দশমিক ৬৭ ডলার দরে এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর আগের লটে দাম ছিল প্রতি টন ৩৩৫ দশমিক ৮৩ ডলার।
অতিরিক্ত সচিব জানান, এমওপি সার ক্রয়ে আরও তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি প্রস্তাবে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ১ লাখ টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন ৪৪৪ ডলার দরে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগের লটে দাম ছিল প্রতি টন ৬৫৫ ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এ সার আমদানি করবে।
অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপব এসএ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকায় এ সার আমদানি করা হবে।