গত ২৪ জানুয়ারি হিনডেনবার্গ নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ছোট একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনে। হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক দশক ধরে জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তার ওপর ভর করে গৌতম আদানির সম্পদও ফুলেফেঁপে ওঠে। বিশেষ করে গত দুই বছরে আদানির সম্পদমূল্য বিপুল হারে বেড়েছে।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানির বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদর হু হু করে কমছে। এখন পর্যন্ত শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত আদানি সাত কোম্পানির বাজার মূলধন ১৩৫ বিলিয়ন বা সাড়ে ১৩ হাজার কোটি ডলার কমে গেছে। তাতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায়ও ৩৬ ধাপ নিচে নেমে গেছেন গৌতম আদানি।
এদিকে হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। এরই মধ্যে বড় অঙ্কের বেশ কিছু ঋণও আগেভাগে শোধ করেছে তারা। চলতি মার্চের মধ্যে শেয়ার বন্ধক রেখে ৬৯-৭৯ কোটি ডলারের ঋণ শোধ করার পরিকল্পনা করার কথাও শোনা যাচ্ছে। প্রশ্নও উঠছে, আচমকা আগাম ঋণ পরিশোধের অর্থ তারা পাচ্ছে কোথায়। এমনই ঘোলাটে সময়ে নতুন বিনিয়োগ পাওয়ার খবর দিল আদানি গোষ্ঠী।
নতুন এই বিনিয়োগ নিয়ে আদানি গ্রুপের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জুগেসিন্দার সিং জিকিউজির এই বিনিয়োগ আদানি শিল্পগোষ্ঠীর ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জিকিউজিকে আমরা আমাদের অবকাঠামো, টেকসই জ্বালানি, জ্বালানির রূপান্তর ও সরবরাহ খাতের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে মূল্যায়ন করছি।
অন্যদিকে জিকিউজির চেয়ারম্যান ও প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রাজীব জৈন বলেন, তারা বিশ্বাস করেন দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিগুলোর ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। গৌতম আদানিকে নিজের প্রজন্মের সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচনা করেন বলেন মন্তব্য করেন রাজীব জৈন।
আদানি গ্রুপ ১৮৭ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে মার্কিন এক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ পাওয়ার খবরটি গুজব বলে মনে করছে সংস্থাটি।