প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছিল।
শেখ হাসিনা তাঁর তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে গত ২৫ এপ্রিল টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। টোকিওতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চার দিনের জাপান সফর শেষ করে গত ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন। তিনি তাঁর তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা, ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি ক্লার্কের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। তিনি একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেন।
যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্টে অংশ নেন। তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলির সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী মিসর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট এবং সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন।