ভারতের বিহারের মিথিলা অঞ্চলের সমস্তিপুর থেকে উঠে এসেছেন বৈভব সূর্যবংশী। পরশু রাতে আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে এই ১৪ বছর বয়সীর বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পর তাঁর জন্য ১০ লাখ রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
গতকাল নিজের এক্স হ্যান্ডলে এ পুরস্কার ঘোষণা করেন নীতীশ কুমার। রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার বৈভবের সঙ্গে গত বছর সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করে নীতীশ কুমার লিখেছেন, ‘বিহারের জনাব বৈভব সুর্যবংশীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, যিনি আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ (১৪ বছর) হিসেবে সেঞ্চুরি করেন। নিজের প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন আশা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন…আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ফোনেও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। বিহারের তরুণ ক্রিকেটার জনাব বৈভব সূর্যবংশীকে রাজ্য সরকারের পক্ষ ১০ লাখ রুপিও দেওয়া হবে। আশা করি, বৈভব ভারতীয় দলের হয়ে ভবিষ্যতে নতুন নতুন রেকর্ড গড়বেন এবং দেশের গৌরব বয়ে আনবেন।’
গুজরাটের ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে ১১ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন বৈভব। অনেকের মতে, আইপিএলের ইতিহাসেই অন্যতম অবিশ্বাস্য ইনিংস এটি। বৈভবের অবিশ্বাস্য এই ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জেতে রাজস্থান।
৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ও ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন বৈভব। আইপিএলে তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেও সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান এখন বৈভব। সেঞ্চুরির সময় তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর ৩২ দিন। ১৭ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথেও রেকর্ড গড়েন বৈভব। আইপিএলে এটি সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ফিফটির রেকর্ড।
গত বছর আইপিএলের মেগা নিলামে বৈভবকে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে কেনে রাজস্থান। গত বছর জানুয়ারিতেই বিহারের হয়ে ১২ বছর ২৮৪ দিন বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীও নিজের এক্স হ্যান্ডলে বৈভবকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘বৈভব সূর্যবংশীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, যিনি সর্বকনিষ্ঠ বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন। বৈভব সূর্যবংশীকে নিয়ে বিহারের প্রতিটি মানুষ গর্বিত। এনডিএ সরকার অ্যাথলেটদের প্রতিটি পদক্ষেপে পাশে আছে।’