শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নিয়ে ফেরার সময় ১১ যুব খেলোয়াড় ও তাদের কোচকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজশাহী রেল স্টেশনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মানববন্ধন থেকে মামলা প্রত্যাহার ও ওসি গোপাল কুমারের প্রত্যাহার দাবি করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল হক পিন্টু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন নবী পিন্টু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন প্রমুখ।
বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল হক পিন্টু বলেন, ‘ছোট ছোট এসব খেলোয়াড়রা রাজশাহী বিভাগের পক্ষে খেলে গোল্ডসহ বিভিন্ন পদক পেয়েছে। রাজশাহীর মুখ উজ্জ্বল করেছে। অথচ রেল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা নিয়েছে। তাদের টাকা ও ব্যাগ হারানোর বিষয়ে কোনো মামলা নেয়নি। রেল পুলিশের ওসি একাজটি অন্যায় করেছেন। আমরা আজকের মধ্যে রেল পুলিশের ওসির প্রত্যাহার দাবি করছি। একই সঙ্গে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
যুব গেমসে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার সময় জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯) কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারি হয় খেলোয়াড়দের। এ সময় তাকে ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে মারপিট, শ্লীলতাহানি ও গলার চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন রাজিয়া সুলতানা। এ মামলায় ১১ খেলোয়াড় ও কোচকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।’
তবে খেলোয়াড়রা জানান, তাদের ব্যাগ ও টাকা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার সময় পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ফারহানা খন্দকারের ধাক্কা লাগে। এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সরি বলেন। এরপরও গোলাম কিবরিয়া তাকে চড় মারেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে আহত হন গোলাম কিবরিয়া। পরে রেল পুলিশ খেলোয়াড়দের আটক করে থানায় নেন।
ওই খেলোয়াড়রা জুডো, কুস্তি, কারাতেসহ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ট্রেনে ফিরছিলেন।