বল হাতে ভদ্রলোকের দৌড়টাই দেখার মতো। বোলিং ক্রিজে এসে যখন লাফ দেন, তখন ইমরান খানকে মনে পড়তে পারে অনেকের। শোয়েব আখতার কোনো তুলনায় যাননি। এই বৃদ্ধ বয়সে তাঁর পেসার হওয়ার শখ দেখেই শোয়েব মুগ্ধ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বেশ বয়স্ক এক লোক বল হাতে দৌড়ে আসছেন। বোলিং ক্রিজের কাছাকাছি আসতেই ক্রিকেটপ্রেমী সেই বৃদ্ধের লাফটি পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খানের মতো। ইমরানের মতোই সাইড অন বোলিং অ্যাকশন এবং বল ছাড়ার সময় তাঁর মতোই বাঁ দিকে একটু কাত হয়ে যান এই বৃদ্ধ। বলের গতি? স্লো মোশনের ভিডিওতে তো আর গতি বোঝা যায় না। তবে এই বয়সে ওভাবে দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে বল করা—একজন বৃদ্ধের ক্রিকেট প্রেম দেখে মুগ্ধ হতে এতটুকুই তো যথেষ্ট!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড গড়া শোয়েবও সম্ভবত এ কারণেই তাঁর বোলিং দেখে মুগ্ধ। বোলিংয়ের ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আরে বাহ! ১০০–তে (বছর বয়সে) “১০০” মাইল গতি! আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই। কেউ খুঁজে দিতে পারেন।’ শোয়েবের নজর কাড়া এই বোলারের বয়স ১০০ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তবে তিনি বৃদ্ধ তো বটেই। এই বয়সেও এভাবে দৌড়ে এসে পেস বোলিং করাটা কেমন বিরল, তা বোঝাতেই হয়তো শোয়েব তাঁর বয়স ১০০ বছর বলে ফেলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা কোনো সংবাদমাধ্যম অবশ্য এখনো লোকটির বয়স ও নাম জানাতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’খ্যাত শোয়েবের অ্যাকশনের সঙ্গেও বৃদ্ধের বোলিং অ্যাকশনের মিল খুঁজে পেয়েছেন।
তবে ভালোমতো খেয়াল করলে ইমরানের বোলিং অ্যাকশনের সঙ্গেই বেশি মিলে যায় সেটা। ইমরানের খেলোয়াড়ি জীবনে বয়সে এই বৃদ্ধের তরুণই থাকার কথা। সে সময় পাকিস্তানে ইমরানের জনপ্রিয়তা ছিল ঈর্ষণীয়। ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে তখন ইমরানের বোলিং অ্যাকশন অনুকরণ করাটা স্বাভাবিকই ছিল তখন। তবে নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেটে আসা শোয়েবের বোলিং অ্যাকশনকে অনুকরণ করাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।