গ্রুপ পর্বে সমীকরণের ফাঁড়া কাটিয়ে সুপার এইটের টিকিট পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের পথ কঠিন করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সুপার এইটের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশরা।
রোববার (২৩ জুন) আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১১৬ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জবাব দিতে নেমে ৬২ বল এবং ১০ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেই ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। কারণ, বড় জয়ে রান রেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে গিয়েছে ইংল্যান্ড।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন দুই ইংলিশ ওপেনার জস বাটলার এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তোলে ইংল্যান্ড।
৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন বাটলার। নবম ওভারে হারমীত সিংকে পাঁচটি ছক্কার হাঁকান এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ফিল সল্টের ২১ বলের ২৫ রান এবং বাটলারের ৩৮ বলের ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ৬২ বল এবং ১০ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেই ইংল্যান্ড।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন অ্যান্ড্রিস গাউস। ৫ বলে ৮ রান করেন তিনি। ১৩ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন স্টিভেন টেইলর।
তিনে ব্যাট করতে এসে দলের হাল ধরেন নিতিশ কুমার। ১৬ বলে ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অ্যারন জোন্স। ২৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন নিতিশ কুমারও। ৬ বলে ৪ রান করে ফেরেন মিলিন্ড কুমারও।
তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন কোরি অ্যান্ডারসন। তাকে সঙ্গ দিয়ে রান তুলতে থাকেন হারমীত সিং। ১৭ বলে ২১ রান করে হারমীত আউট হলে ২৮ বলে ২৯ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন কোরি অ্যান্ডারসন।
১৯তম ওভারে প্রথম বলে অ্যান্ডাসনকে ফেরানোর পর তৃতীয় বলে আলি খান (০), চতুর্থ বলে নস্টুশ কেনজিগে এবং পঞ্চম বলে সৌরভ নেত্রাভালকারে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন ক্রিস জর্ডান। সেই সঙ্গে ১১৫ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন ক্রিস জর্ডান। এ ছাড়াও স্যাম কারান এবং আদিল রশিদ দুটি করে, লিয়াম লিভিংস্টোন এবং রিস টপলে নেন একটি করে উইকেট। #ইংল্যান্ড #সেমিফাইনালে #everyone #explore #বিশ্বকাপ #ক্রিকেট #টিটোয়েন্টি