১ লাখ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এস আলমের বিরুদ্ধে, অনুসন্ধানে সিআইডি

0
54
এস আলম
এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
 
শনিবার (৩১ আগস্ট) অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম এই অনুসন্ধান শুরু করেছে।
 
বিকেলে সিআইডিএ বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সিআইডি প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।
 
বিভিন্ন সূত্রে সিআইডি জানতে পেরেছে, এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে দেশেই পিআর বা পারমানেন্ট রেসিডেন্স গ্রহণ করেছেন। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ও সাইপ্রাসসহ ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে নিজের ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ক্রয় ও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, পাচার করা অর্থে প্রায় ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‌‘ক্যানালি লজিস্ট্রিক প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
 
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বলেন, এ ছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের জন্য নামে-বেনামে ৬টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছেন।
 
এ ছাড়া নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে এস আলম অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
 
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
 
এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.