রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিনের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৮১ রানে পাকিস্তানের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। সুযোগ ছিল সপ্তম উইকেট তুলে নেওয়ারও। কিন্তু নাহিদ রানার বলে স্লিপে ক্যাচ মিস করেন সাদমান। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরেই রিজওয়ানের প্রতিরোধের দেওয়াল ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ আউট করেন তিনি। পরের বলেই মোহাম্মদ আলি আউট হলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪১ রান। সালমান আঘা ২০* এবং আবরার আহমেদ ২ রানে ব্যাট করছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো করেছিল তৃতীয় দিনে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান। তবে ৯ ওভার পরেই ছন্দ হারায় পাকিস্তান। ২০ রান করে সাইম আইয়ুব আউট হলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পাক অধিনায়ক শান মাসুদ।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি বাবর আজমও। ১৮ বলে ১১ রান করে নাহিদ রানার দ্বিতীয় শিকার হন এই তারকা ব্যাটার। এতে দলীয় ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সাউদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন রিজওয়ান। কিন্তু ২ রান করে নাহিদ রানার তৃতীয় শিকার হন শাকিল।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ মিস করেন সাদমান। সেই সুযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই তারকা ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আঘা সালমান।
তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরেই রিজওয়ানের প্রতিরোধের দেওয়াল ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ আউট করেন তিনি। পরের বলেই মোহাম্মদ আলি আউট হলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছিলেন পাকিস্তানি বোলাররা। তবে লিটন ও মিরাজের বীরত্বে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো পর প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান তোলে সফরকারীরা। এতে ১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল পাকিস্তান।
কিন্তু দিনের শুরুর হতাশাটাই যেনও পাকিস্তানকে ফিরিয়ে দিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। শেষ সময়ে পাকিস্তানের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৩ ওভার ৪ বল খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ৬ রানে অপরাজিত ছিল সাইম আইয়ুব।