হালিতে ডিমের দাম হাফ সেঞ্চুরির পরও ছুটছে

0
174
নিত্যপণ্যের দাম

অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আগেই বেড়ে আছে। এখন ডিমের দাম আরেক দফা বাড়ল। তাতে বাজার খরচও বাড়বে।

দোকান থেকে এক হালি ডিম কিনতে গেলে ৫০ টাকার একটি নোট তো দিতেই হবে, সঙ্গে যোগ করতে হবে আরও একটি ৫ টাকার নোট বা ধাতব মুদ্রা। হাফ সেঞ্চুরি করার পরেও থেমে নেই ডিমের হালির দাম। প্রতি হালি ডিমের দাম পড়ছে ৫৫ টাকা। এদিকে বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গে বাড়ছে রসুনের দামও। কাঁচা মরিচসহ চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেলের মতো অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দর উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল। মাছ-মাংসের বাজারেও কোনো সুখবর নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র দেখা গেছে। ডিমের সরবরাহের ঘাটতিতে দাম প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। তিন দিন আগেই ডিমের ডজন ১৫০ টাকা ছুঁয়েছিল। এখন আরও বেড়েছে।

১৬৫ টাকার নিচে এক ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো।

মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা তানভীর হাসান বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ডিম কম আসছে, তাতে দাম একটু বেড়েছে। ডজনে প্রতিদিনই দুই থেকে চার টাকা বাড়ছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে বাজারে রসুনের দামও বেড়েছে। বাজারে দেশি ও আমদানি করা রসুনের দাম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। গত এক সপ্তাহে কেজিতে রসুনের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। টিসিবি বলছে, গত এক মাসে বাজারে দেশি রসুনের দাম ৪৭ শতাংশ ও আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ।

আমদানির পরেও কাঁচা মরিচের বাজার এখনো চড়া। বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেলের মতো অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দামও উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল। বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। মৌসুম হলেও বাজারে ইলিশের দেখা নেই। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১ হাজার ৬০০ টাকার ওপরে।

গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা কেজিতে বেঁধে গেছে। দরদাম করে নিলে কোথাও কোথাও একটু কমে পাওয়া যায়। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। অবশ্য ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় একটু কমে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম পড়ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা কেজি।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা মাহমুদ হাসান বলেন, মাছ-মাংসের দাম অনেক আগে থেকেই চড়ে আছে। এখন ডিমের দামও বাড়তি। বাজার খরচ আরেক দফা বাড়ল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.