হাওরের মাঝখানে সড়ক বানিয়ে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, এভাবে সড়ক নির্মাণ ঠিক হয়নি। এখন টের পাচ্ছি, হাওরের মাঝখানে সড়ক নির্মাণ করে নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছি। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনার এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বাংলাদেশ সেন্টার ফর হলিস্টিক স্টাডিজ এ সেমিনার আয়োজন করে।
হাওরে একসময় সড়ক নির্মাণের ব্যাখ্যা দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের বাসিন্দাদের হক আছে শহরে যাওয়ার। সে প্রয়োজনে তখন চমৎকার সড়ক করা হয়। কিন্তু এখন টের পাচ্ছি, এটি করা ঠিক হয়নি। এ জন্য আগামীতে হাওরে আর কোনো সড়ক করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরে বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
বর্ষায় সড়ক ও বাঁধ ভেঙে জনপদ তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা গত কয়েক বছর ধরেই ঘটছে। ফসলহানি ছাড়াও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম সড়ক এর বড় উদাহরণ। এমন প্রেক্ষাপটে গত বর্ষার পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে হাওরে সড়কের পরিবর্তে উড়াল সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এস পি গৌতম। বক্তব্য দেন এমপি নাহিম রাজ্জাক, সেন্টার ফর হলিস্টিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন জিল্লুর রহমান, সাবেক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিহির কান্তি মজুমদার প্রমুখ।