জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বিল-ভাউচার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে দুদকের করা ৫টি দুর্নীতির মামলা বাতিল করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চের রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট ওই রায় হয়।
বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর সম্প্রতি ৩২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে স্পিকার থাকাকালে জমির উদ্দিন সরকারকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা বিলের নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ২৭ লাখ টাকা ছয় মাসের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ের এ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রায়ে বলা হয়েছে, এখন থেকে দুদক বা অন্য কোনো সংস্থা স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ বা হুইপের বিল অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের গাইড লাইন অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএনপি দলীয় সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের ৫টি দুর্নীতি মামলা বাতিল করে গত ২৫ আগস্ট রায় দেন আপিল বিভাগ। স্পিকার থাকাকালে তার বিরুদ্ধে কেনাকাটা ও চিকিৎসা বিল সংক্রান্ত এ মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল করে দেওয়া হয়।
২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁও থানায় সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি দুর্নীতির মামলা করে দুদক। মামলার অপর আসামিরা হলেন-বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলে ২০১৬ সালের হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। এরপর মামলাটি নিস্পত্তির জন্য তৃতীয় বেঞ্চে পাঠানো হলে শুনানি শেষে বাতিল আবেদনটি খারিজ করা হয়। ওই খারিজ আবেদনের বিরুদ্ধে আপিল করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার।