অনুমোদন ছাড়া পর্যটন দূতের ভূমিকায় সৌদি সফরে গিয়ে পিএসজির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন লিওনেল মেসি। একইসঙ্গে পরবর্তী মৌসুমে তার সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি নবায়ন না করারও ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর অবশ্য মেসির বাবা জর্জ মেসিও জানান যে পিএসজিতে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের না থাকার বিষয়টি এক মাস আগেই জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় চুপ ছিলেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। এবার তিনি সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং অনুমতি ছাড়া সফরের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।
পিএসজি কর্তৃপক্ষ ও সতীর্থদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন মেসি। সেখানে মেসি প্রতিটি ম্যাচের পর ছুটি থাকার কথা উল্লেখ করে সৌদির নির্ধারিত সফরে রওনা হওয়ার কথা বলেন। নির্ধারিত সফরের কারণে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি এবং এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আসায় অনুতপ্ত বলে জানান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক পরাজয় বিবেচনায় ছুটি বাতিল করে বাধ্যতামূলতক অনুশীলন ডাকে পিএসজি।
ভিডিও বার্তায় মেসি বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, প্রতিটি ম্যাচ পরবর্তী সময়ের মতো আমরা ছুটিতে যাচ্ছি। আগে থেকেই আমার সফরটি (সৌদি আরব) নির্ধারিত ছিল এবং আমি তাৎক্ষণিক সেটি বাতিল করতে পারিনি। যদিও এর আগে ছুটি না থাকায় এরকম সফর বাতিল বাতিল করেছিলাম। সতীর্থদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমাকে যে শাস্তি দেয়, তা মেনে নিব।’
এর আগে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না পিএসজির। তারকাবহুল দল নিয়ে একের পর এক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতার পর লিগ ওয়ানের শিরোপা ধরে রাখা নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে। এর মধ্যেই সর্বশেষ ম্যাচে টেবিলের তলানিতে থাকা লঁরিয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাজেভাবে হেরে গেছে পিএসজি। ক্লাবটির এমন ব্যর্থতায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতিতে দলের তারকা ফুটবলারের সৌদি সফর যেন ক্লাবটির অন্দরমহলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে।
যার রেশ ধরে গত ৩ মে মেসির বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্লাব সমর্থকরা মেসির বাড়ির সামনে গিয়ে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। যদিও পরবর্তীতে সেই ঘটনায় নিন্দা জানায় পিএসজি। তবে আগামী মৌসুমে আর আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে দলে না রাখারও ঘোষণা দেয়।