সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর দুই প্রান্তে (আশুগঞ্জ ও ভৈরব) আগামী জুলাই মাসে ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানো হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনের যান ফিরিয়ে দেওয়ার রাস্তা।
সওজ ও সেতুর টোল আদায়কারী কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মেঘনা নদীতে নির্মিত সেতুটি ২০০২ সালে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রাজধানীর সঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি জেলার সড়ক যোগাযোগের অন্যতম এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৯ হাজারের বেশি বিভিন্ন যান চলাচল করে। এ সেতুতে শুরু থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে টোল আদায় হলেও ছিল না ওজন পরিমাপক যন্ত্র। ফলে যে কোনো পরিমাণ ওজন বহনকারী যানবাহন এ সেতু দিয়ে পারাপার হয়। সম্প্রতি সেতুর উভয় প্রান্তে ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু করে সওজ কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে। আগামী জুলাইয়ের আগেই ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানোর কাজ শেষ হবে।
নরসিংদী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, সেতুর টোল অপারেট করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নতুন অপারেটর কাজ বুঝে নিলে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কাজ শুরু হবে। এটি চালু হলে সেতুর ওপর অতিরিক্ত ওজনের যানবাহনের চাপ কমবে। সুরক্ষিত থাকবে সেতু।