কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে তাঁর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের জোট ছেড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন প্রতিক্রিয়া দেখাল হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি।
হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব গিয়াস উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এ বিষয়ক একটি বিবৃতি আজ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার অবৈধ এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে হাটহাজারীর সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের নিজ দলের শতভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের মতো একজন ‘সিঙ্গেল ম্যানের’ (একক নেতার) জোটকে সম্মান দেখিয়ে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিল। তাঁর পক্ষে বিএনপির সব ইউনিট (শাখা) কাজ করেছে। কিন্তু তখনো তিনি সে সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন। ইবরাহিমের হয়ে নির্বাচনের কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতা-কর্মী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে তিনি কারও খোঁজখবর নেননি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমরা হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। পাশাপাশি তাঁকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আর যদি হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি পরিবারের কেউ ইবরাহিমকে কোনোভাবে সহযোগিতা করেন বা যোগাযোগ রাখেন, তাহলে আমরা তাঁর বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি নতুন ওই জোটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমি ও আমার দলের টিকে থাকার সীমা আছে। এ মুহূর্তে আমার রাজনৈতিক অক্ষমতা যে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পেরে উঠছি না। ২৮ অক্টোবরের পরে সুনির্দিষ্ট একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। যেখানে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। চুপ থাকব নাকি বিকল্প ব্যবস্থা নেব। আমি বিকল্প অবস্থান নিয়েছি।’