নাশকতার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২০৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শুক্রবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নাশকতার ৬৭টি মামলায় ২০৭ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নুরুল হক কারাগারে
বনানীর সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানির সময় নুরুল হকের আইনজীবীরা আদালতের কাছে অভিযোগ করেন রিমান্ডে নিয়ে নুরুলকে নির্যাতন করা হয়েছে।
পরে নুরুল হকের স্ত্রী মারিয়া আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নুরুল হককে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
গোলাম পরওয়ার কারাগারে
রামপুরা থানার মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি নেতা আমিনুল হক, এম এ সালাম, সায়েদুল আলম ও মাহমুদুস সালেহীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নাশকতার বিভিন্ন মামলায় মিরপুর থানার পুলিশ ২৬ জন, মোহাম্মদপুর থানা ২৪ জন, যাত্রাবাড়ী থানা ১৮ জন, কদমতলী থানা ১০ জন, ডেমরা ও লালবাগ থানা ৯ জন করে; ভাটারা, তেজগাঁও, পল্লবী, কাফরুল, কোতোয়ালি ও শাহজাহানপুর থানা ৮ জন করে এবং চকবাজার থানা ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে হাজির করে। এর বাইরে উত্তরা পূর্ব ও ধানমন্ডি থানা ৬ জন করে; আদাবর, শাহবাগ ও বনানী থানা ৫ জন করে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। এ ছাড়া ওয়ারী ও পল্টন থানা ৪ জন করে; গেন্ডারিয়া, খিলগাঁও ও রূপনগর থানা ৩ জন করে; ক্যান্টনমেন্ট, তুরাগ, বংশাল ও সবুজবাগ থানা ২ জন করে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। এ ছাড়া কলাবাগান, উত্তরা পশ্চিম, রমনা ও বাড্ডা থানা-পুলিশ একজন করে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে।