জয়ের জন্য সুপার ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের দরকার ছিল ১২ রান। বল হাতে রাজস্থান রয়্যালসের সন্দীপ শর্মা, স্ট্রাইকে লোকেশ রাহুল। প্রথম বলে এল ২, পরের বলেই ৪। ওভারের প্রথম দুই বলে অর্ধেক রান উঠে যাওয়া মানে চাপ কমে গেছে অনেকটাই। তৃতীয় বলে রাহুল সিঙ্গেল নিলে চতুর্থ বলে স্ট্রাইক নেন ট্রিস্টান স্টাবস।
দক্ষিণ আফ্রিকার এ ব্যাটসম্যান সময় নিলেন না একদমই। সন্দীপের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারি টেনে এনে উড়িয়ে দিলেন মিড উইকেট গ্যালারিতে। সুপার ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালস জিতল দাপট দেখিয়েই।
ম্যাচ সুপার ওভারে গেলে দিল্লির জয় পাওয়াটা এখন সাধারণ ঘটনা। আজকের আগে আইপিএলের ১৪টি ম্যাচ সুপার ওভারে গড়িয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস তিনটি খেলে তিনটিতেই জিতেছিল। সেই ধারাই বজায় থাকল আজ নিজেদের চতুর্থ সুপার ওভারেও (দিল্লি ডেয়ারডেভিলস একবার খেলে হেরেছে)।

আজ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে দিল্লি ক্যাপিটালস খেলা সুপার ওভারে নিয়ে যায় মিচেল স্টার্কের সৌজন্যে। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৮৮ রান।
তাড়া করতে নেমে জয়ের সম্ভাবনা জাগানো রাজস্থানের শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। বোলিং করতে গিয়ে স্টার্ক প্রথম চার বলে দিয়ে ফেলেন ৬ রান। তবে পঞ্চম বলে শিমরন হেটমায়ার ও ষষ্ঠ বলে ধ্রুব জুরেলকে ১ রানে আটকে দিয়ে ম্যাচ টাই করে ফেলেন।
এরপর খেলা সুপার ওভারে গড়ালে সেখানে বল হাতে ১১ রান দেন স্টার্ক। পরপর দুই রান আউটে রাজস্থান থেকে যায় ৫ বলেই। এরপরই তাড়া করতে নেমে সন্দ্বীপের বলে রাহুল ও স্টাবসের দাপুটে ব্যাটিং।

রাজস্থানের বিপক্ষে সুপার ওভারের জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট দলটির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গুজরাট টাইটানসের পয়েন্ট ৬ ম্যাচে ৮। রাজস্থান রয়্যালস ৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সাত নম্বরে আছে।