ঝালকাঠির তেল ডিপোর বিপরীতে সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামে তেলবাহী জাহাজে আগুন লেগেছে। এতে জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনার পর জাহাজের সাতজন নদীতে নিখোঁজ এবং চারজন আহত হয়েছেন। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডিপো সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিতে ১৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ছিল। ঝালকাঠিতে নৌ ফায়ারস্টেশন নেই। তা ছাড়া জাহাজে আগুন নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম না থাকায় তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রথমে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়। দুটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করার পর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
পদ্মা কোম্পানির ডিপো সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটি তিন দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠিতে আসে। কিন্তু কোরবানির ঈদের ছুটির কারণে তেল ডিপোতে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। গতকালই তেল ডিপোতে সরবরাহের কথা ছিল।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, জাহাজের কাছে গিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ যে কোনো সময় জাহাজটির তেলের ব্যারেলে বিস্ফোরণ ঘটার ও জ্বালানি পানিতে মিশে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তাই দূর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। পরে আগুনে জাহাজের পেছনের কিছু অংশ (যেখানে স্টাফরা বসবাস করেন এবং চালকের অবস্থান) বিস্ফোরিত হয়ে উড়ে যায়।
ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মহিতুল ইসলাম জানান, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি পদ্মা ডিপোর ডিএস হোসেন আহম্মেদ জানান, জাহাজটি যাতে ডুবে না যায়, এজন্য জাহাজের ভেতরের পানি অপসারণ করতে ফায়ার সার্ভিসকে বলা হয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।