জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তারকা অভিনেতা। গেল ঈদ আয়োজনে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়েছে তাঁর অভিনীত নাটক ও টেলিছবি। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েলেন?
হ্যাঁ, রুবেল হাসানের পরিচালনায় ‘আউটসাইডার’ নাটক দিয়ে ঈদের পর কাজের খাতা খুলেছি। এটি মেজবাহ উদ্দিন সুমন রচিত নাটক। সম্প্রতি উত্তরায় এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। এক ঈদের কাজ শেষ না হতেই আরেক ঈদ চলে আসছে। কয়েক দিন পর কোরবানি ঈদের কাজ নিয়েও ব্যস্ততা বাড়বে।
নাটকটির গল্প কী নিয়ে?
নাটকের গল্প অসাধারণ। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হওয়ার পর সন্তানকে ঘিরে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। বিষয়টি নাটকে উঠে এসেছে। নাটকে আমার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। বেশ বিরতির পর তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি।
ঈদে আপনার বেশ কয়েকটি নাটক ও টেলিছবি প্রচার হয়েছে। কোন কাজগুলোতে সাড়া পেলেন বেশি?
এটি আসলে আলাদা করে বলা খুব মুশকিল। একেক দর্শকের একেক ধরনের নাটক কিংবা টেলিছবি পছন্দের। তাই সাড়া সেভাবেই পাচ্ছি। ‘প্রিয় পরিবার’, ‘জোছনাহারা’, ‘পথে হলো পরিচয়’সহ অনেক নাটক দেখে দর্শক ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমেও প্রশংসা করেছেন। গতবারের তুলনায় এবার অনেক কমসংখ্যক নাটক, টেলিছবিতে অভিনয় করেছি। কাজ কম করলেও পুরোনো কিছু কাজও প্রচার হয়েছে। আলাদা সব চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছি। এ কারণে নাটকগুলো দর্শক গ্রহণ করেছেন।
সম্প্রতি ওয়েব ছবি ‘বুকের মধ্যে আগুন’ মুক্তি পেয়েছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পেলেন?
খুবই ভালো। তানিম রহমান অংশুর নির্মাণও ছিল দুর্দান্ত। ফেসবুকসহ অন্য সব সামাজিক মাধ্যমে এখনও প্রশংসা পাচ্ছি। দর্শকের এই সাড়া দেখেই বোঝা যায়, দর্শক আমার অভিনীত গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম মামুন চরিত্রটি পছন্দ করছেন।
টেলিভিশন নাটকের এই সময়কে কীভাবে দেখছেন?
নাটকের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমার ধারণা সব সময়ই ইতিবাচক। অনেক নাটক হচ্ছে। তবে ভালো গল্পের নাটক কম। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, ভালো গল্পের দর্শক আছে। বারবারই তা প্রমাণ হচ্ছে। সীমিত সময়, সীমিত বাজেট– সবকিছুর মধ্য থেকেই আমরা কাজ করছি। তরুণ নির্মাতার পাশাপাশি অনেক নতুন শিল্পীও এসেছেন নাটকের ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকেই ভালো কাজ উপহার দিচ্ছেন।