জ্যাকি চ্যানকে বলা হয় চীনের বক্স অফিসের রাজা। অ্যাকশন ও কমেডি দুই ফরমেটেই অনবদ্য তিনি। ক্যারিয়ারে প্রায় ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ তারকার সিনেমাগুলো বিশ্বব্যাপী প্রায় সর্বমোট ২.৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
একই ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্যাকি চ্যান প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। তবে আয় করা এ অর্থগুলো নিজের জন্য নয়, বরং সমাজসেবায় ব্যয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিখ্যাত এ অ্যাকশন হিরো।
ফোর্বস রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, ‘দ্য মিসট্রি অফ ড্রাগন সিল: জার্নি টু চায়না’ ও ‘প্রজেক্ট এক্স-ট্র্যাকসন’ সিনেমায় অভিনয় করে জ্যাকি চ্যান প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এছাড়াও বিশ্ববিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রচারণা করে বছরে প্রচুর অর্থ আয় করেন তিনি।
এত সম্পদের মালিক হলেও উপার্জিত সকল অর্থ নিজের ভোগ বিলাসে ব্যয় করেননা জ্যাকি চ্যান। ২০১২ সালে এ অভিনেতা জানান, উপার্জিত অর্থের অর্ধেক তিনি দেবেন তার পরিবারকে আর বাকি অর্ধেক খরচ করবেন সমাজসেবায়।
তবে পরবর্তীতে নিজের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন খ্যাতিমান এ অভিনেতা। জ্যাকি জানান, অর্ধেক নয় বরং উপার্জিত অর্থের পুরোটাই সমাজসেবায় ব্যয় করবেন তিনি।
জ্যাকি চ্যানের সন্তান জেসি চ্যান একজন অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী। নিজের সন্তানের জন্য কোনো সম্পদ না রাখার পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার সন্তান যদি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়, তবে ও নিজেই অর্থ আয় করতে পারবে। আর যদি যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে, তবে ও শুধু আমার অর্থই নষ্ট করবে।”
বিপুল পরিমাণ সম্পদ দানের পেছনে জ্যাকি চ্যানের রয়েছে শৈশবের সংগ্রামের স্মৃতি। তিনি বলেন, “শৈশবে আমি খুব গরীব ছিলাম। এরপর আমি নিজে অর্থ আয় করে ভাগ্য পরিবর্তন করতে থাকি। এখন আমি সবকিছু দান করে দিতে চাই। আমি যখন কাউকে কিছু দান করি, তখন আমার খুবই ভালো লাগে।