সিগন্যালের ভুলে দুর্ঘটনা, বলছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ

0
220

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে কয়েক মিনিটে এই দুর্ঘটনা সিগন্যালে ত্রুটির কারণে হয়েছে বলে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তদন্তের পরে রেলের প্রাথমিক রিপোর্টে করমণ্ডল দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সিগন্যালে ত্রুটির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে রেলের কর্মকর্তাদের একাংশের বক্তব্য।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এক যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘এর মধ্যে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’ কিন্তু মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল দেওয়ায় কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কবে স্বাভাবিক হবে ট্রেন চলাচল?

হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী রেল পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে এ নিয়ে ভারতের রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে রেলের উদ্ধার সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের একাংশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সোমবারের আগে ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হতে হতে মঙ্গলবার। বস্তুত, এখন রেলের মাথাব্যথা ওই রেলপথে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করা নিয়ে। শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে সেই কাজ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.